মার্কেটিং কাকে বলে?
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে আমরা তোমাদের মাঝে একটি commercial টপিক নিয়ে আলোচনা করব, যা হলো মার্কেটিং। আমাদের বর্তমানে বিশ্বের সব কিছু পরিচালনার ক্ষেত্রে মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং আমরা আজকে এই মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চলেছি এবং মার্কেটিং কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? তাই নিচে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
মার্কেটিং কাকে বলে
মার্কেটিং হলো পণ্য, সেবা, ধারণা বা অভিজ্ঞতা তৈরি, যোগাযোগ, বিতরণ, মূল্য নির্ধারণ এবং বিক্রয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে মূল্যবান সম্পর্ক তৈরি করার একটি ব্যবসায়িক কার্যকলাপ। এর লক্ষ্য হলো বাজারে লক্ষ্যবস্তু গ্রাহকদের কাছে কোম্পানির পণ্য বা সেবার মূল্য বোঝানো এবং তাদের ক্রয় করতে উৎসাহিত করা।
আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে, মার্কেটিং হলো বাজারে কোনো ব্র্যান্ড, ব্যবসা, পণ্য, অথবা সেবা প্রচার করার মাধ্যমে তাদের চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধি করার পদ্ধতি। এটি সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশল ও নীতিমালা ব্যবহার করা হয়।
মার্কেটিং এর জনক কে
বর্তমানে অনেক প্রকার মার্কেটিং প্রক্রিয়া চালু আছে তবে মূলত মার্কেটিং প্রক্রিয়া ২ প্রকার যথাঃ
- ট্রেডিশনাল মার্কেটিং(Traditional marketing)
- ডিজিটাল মার্কেটিং(Digital marketing)
ট্রেডিশনাল মার্কেটিং(Traditional marketing): ট্রেডিশনাল মার্কেটিং, যা অফলাইন মার্কেটিং নামেও পরিচিত, হলো এমন সকল মার্কেটিং কৌশল যা ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল মার্কেটিং-এর উত্থানের আগে থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই কৌশলগুলো ব্যবহার করে বাজার এবং গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। যেমন: সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, ব্রোশার, ফ্লাইয়ার, এবং এমনকি বিলবোর্ড-এ বিজ্ঞাপন অন্তর্ভুক্ত।
ডিজিটাল মার্কেটিং(Digital marketing): বর্তমান যুগে মানুষ খুবই পরিবর্তনশীল এবং খুবই সহনশীল। মানুষ চায় তার কাজটি খুব সহজে হয়ে যায় এবং ঘরে বসেই সে সব ধরনের সেবা পাবে। যা বর্তমান যুগে সম্ভব হয়েছে এবং এটি শুধু মাত্র ইন্টারনেট দ্বারা সম্ভব যা মানুষের কাজ এবং মানুষের মনোবল এবং মানুষের কঠিনতম কাজকে খুব সহজে পরিণত করেছে। বিজনেসের একটি টার্নিং পয়েন্ট এই ইন্টারনেট নিয়ে এসেছে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য, সেবা, ব্র্যান্ড, অথবা ধারণা-র প্রচার করার প্রক্রিয়া। এটি গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন, সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করার জন্য কার্যকর উপায়। যেমনঃ ওয়েবসাইট এবং ব্লগ,ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কডইন, এবং ইউটিউব,ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি
মার্কেটিং এর গুরুত্ব
গ্রাহক অর্জন এবং ধরে রাখা: মার্কেটিং নতুন গ্রাহকদের আকর্ষণ করে এবং বিদ্যমান গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে, যা ব্যবসার দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।
ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি: কার্যকর মার্কেটিং একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড তৈরি করতে সাহায্য করে যা গ্রাহকদের মনে স্থায়ী প্রভাব ফেলে।
বিক্রয় বৃদ্ধি: মার্কেটিং কৌশল গ্রাহকদের পণ্য বা সেবার মূল্য বুঝতে সাহায্য করে এবং তাদের ক্রয় করতে উৎসাহিত করে।
প্রতিযোগিতার মধ্যে এগিয়ে থাকা: কার্যকর মার্কেটিং একটি ব্যবসাকে প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা করে তুলতে এবং বাজারে তার অবস্থান শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
লাভজনকতা বৃদ্ধি: বিক্রয় বৃদ্ধি এবং খরচ কমানোর মাধ্যমে মার্কেটিং একটি ব্যবসার লাভজনকতা বৃদ্ধি করতে পারে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মার্কেটিং
বাংলাদেশের একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি রয়েছে এবং মার্কেটিং এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে পরিণত হয়েছে। দেশে অনেক স্থানীয় ও বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের পণ্য বা সেবা বাজারজাত করার জন্য বিভিন্ন ধরণের মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করে। বাংলাদেশে বর্তমানে এই ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি এবং ট্রেডিশনাল মার্কেটিং পদ্ধতি এবং সাথে আরো অনেক পদ্ধতি রয়েছে এগুলো ব্যবহার করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং দেশের উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
পরিশেষে বলা যায়, মার্কেটিং ছাড়া বর্তমানে কিছুই প্রায় অজানা থেকে যায় ভালো একটু মার্কেটিং এর ফলে যেমন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সফলতা বৃদ্ধি পায় তেমনি ভালো মার্কেটিং না হলে ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সুতরাং আমরা মার্কেটিং কি এবং মার্কেটিং কিভাবে করে এগুলো সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সহকারে জানবো এবং আশা করি উপরের যে তথ্যগুলো আমরা প্রদান করেছে এগুলো আপনাদের কে মার্কেটিং কাকে বলে এই সম্পর্কে ভালো তথ্য দিতে পেরেছি সুতরাং মার্কেটিং সম্পর্কে যদি আরো কোন তথ্য জানতে হলে নিজে কমেন্ট বক্সে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন ‘ধন্যবাদ’