রেখা কাকে বলে, রেখা কত প্রকার ও কি কি?

আমরা জানতে পারবো রেখা কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি, রেখার বৈশিষ্ট্য, রেখাংশ এবং রশ্নি সম্পর্কে সম্পর্কে বিস্তারিত

রেখা কাকে বলে

একটি বিন্দুর চলার পথকে রেখা (Line) বলে। রেখা কোন প্রান্তবিন্দু নেই তাই এটাকে উভয়দিকে চালনা করা যায়। যার শুধুমাত্র দৈর্ঘ্য আছে প্রস্থ এবং উচ্চতা নেই তাকে রেখা বলে।।

রেখার প্রকারভেদ

রেখা সাধারণত দুই প্রকার

  • সরলরেখা
  • বক্ররেখা

রেখা কাকে বলে

সরলরেখা

কোন বিন্দু সরল পথে চলে  এবং উভয় দিকে অসীম  পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে  তাকে সরলরেখা বলে। এক্ষেত্রে একটি বিন্দু থেকে অপর বিন্দুতে যে পথ অতিক্রম করবে এই পথের দিক পরিবর্তন করতে পারবে না তবেই সেই রেখাকে সরলরেখা বলে।

বক্ররেখা

কোন বিন্দু যদি আকাবাকা পথে চলে  এবং উভয় দিকে অসীম  পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে  তাকে বক্ররেখা বলে। ক্ষেত্রে একটি বিন্দু থেকে অপর বিন্দুতে যে পথ অতিক্রম করবে এই পথের দিক পরিবর্তন করবে তবেই সেই রেখাকে বক্ররেখা বলে।

রেখার বৈশিষ্ট্য

রেখাএকটি জ্যামিতিক আকৃতি যা দুটি বিন্দুকে সংযোগ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। রেখার কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য নিম্নলিখিত করা হলোঃ

  • দুটি বিন্দুর সাথে একটি রেখা তৈরি হয়। তার দৈর্ঘ্য হল দুটি বিন্দুর মধ্যে অতিক্রান্ত দূরত্ব।
  • রেখার শুরু বা শেষ নেই।
  • বিন্দু যে পথে অগ্রসর হয় তাই রেখা।
  • রেখারশুরু বা শেষ নেই তাই এর কোন প্রান্ত বিন্দু বা শেষ বিন্দুও নেই।
  • রেখা সোজা বা  আঁকাবাঁকা যেকোনো প্রকার হতে পারে।
  • রেখা থেকে রশ্নি এবং রেখাংশের সৃষ্টি হয়।
  • রেখার প্রস্থ নেই।
  • রেখার উচ্চতা নেই।
  • রেখার দৈর্ঘ্য আছে, কিন্তু নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য নেই।
  • ত্রিভুজ চতুর্ভুজ এবং বহুভুজ আঁকতে সরলরেখা প্রয়োজন।
  • সরল রেখ নিজেকে কখনো ছেদ করতে পারে না।
  • বক্ররেখা নিজেকে যত ইচ্ছে ছেদ করতে পারে।
  • দুটি বিন্দুর মধ্যবর্তী বক্ররেখা বরাবর দূরত্ব সর্বদা সরলরেখা বরাবর দূরত্ব অপেক্ষা বড় বা বৃহত্তর।
  • সরলরেখার যেকোনো বিন্দুতে যে কোন উৎপন্ন হয় তা ১৮০° বা দুই সমকোণের সমান।
  • দুটি রেখা যদি একে অপরের সমান্তরাল হলে তাকে সমান্তরাল রেখা বলে।
  • দুই রেখা যদি একটি বিন্দুতে ছেড়ে না যায়, তবে সেই বিন্দুতে তাদের স্পর্শক বলা হয়

একটি রেখার উদাহরণ

রেখা সম্পর্কে নিম্নে কয়েকটি উদাহরণ দেয়া হলো যা আপনাকে বুঝতে সুবিধা প্রদান করবে

সরলরেখা উদাহরণ

  • সোজা রাস্তা
  • দেয়াল
  • পেন্সিল
  • দরজার ফ্রেম
  • জানালা
  • ছবির ফ্রেম
  • বইয়ের তাক
  • বক্ররেখা উদাহরণ
  • নদী
  • পাহাড়
  • ঢেউ
  • একটি চামচে আকৃতি
  • জগের হ্যান্ডেল গুলি
  • প্লেটের প্রান্ত

রেখাংশ

রেখাংশের উৎপত্তি রেখা থেকে। রেখাংশ বলতে মূলত রেখার সসীম অংশকে বুঝায়। যার নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য ও দুইটি প্রান্ত বিন্দু আছে তাকে রেখাংশ বলে।

 

রেখাংশের প্রকারভেদ

রেখাংশকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা যায়

  • বদ্ধ রেখাংশ
  • খোলা রেখাংশ
  • অর্ধ  খোলাব রেখাংশ

বদ্ধ রেখাংশ

যে রেখাংশের উভয় প্রান্তবিন্দু রেখাংশের উপর অবস্থিত , তাকে বদ্ধ রেখাংশ বলে

উদাহরণ

  • একটি বৃত্তের ব্যাস একটি বদ্ধ রেখাংশ।
  • একটি চতুর্ভুজের চারটি বাহু একটি বদ্ধ রেখাংশ।

একটি ত্রিভুজের তিনটি বাহু একটি বদ্ধ রেখাংশ।

খোলা রেখাংশ

যে রেখাংশের উভয় প্রান্তবিন্দু রেখাংশের উপর অবস্থিত নয়, তাকে খোলা রেখাংশ বলে।

উদাহরণ

  • একটি সরলরেখা একটি খোলা রেখাংশ।
  • একটি বৃত্তের পরিধি একটি সরলরেখা, এবং এর কোন প্রান্তবিন্দু নেই, তাই এটি একটি খোলা রেখাংশ।
  • একটি ত্রিভুজের বাহু একটি খোলা রেখাংশ হতে পারে।

অর্ধ খোলাব রেখাংশ

যে রেখাংশ প্রান্তবিন্দু দুটির যেকোনো একটি কে ধারণ করে তাকে অর্ধ খোলা রেখাংশ বলে।

উদাহরণ

  • একটি সরলরেখার একটি অংশ একটি অর্ধ খোলা রেখাংশ।
  • একটি বৃত্তের ব্যাসের অর্ধেক একটি অর্ধ খোলা রেখাংশ।
  • একটি চতুর্ভুজের একটি বাহু একটি অর্ধ খোলা রেখাংশ।

 

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *