বর্ণ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
আসসালামু আলাইকুম শিক্ষার্থী বন্ধুরা , আজকে আমরা তোমাদের মাঝে বাংলা ব্যাকরণের একটি সুন্দরতম টপিক নিয়ে আলোচনা করব যার নাম হলো বর্ণ। তাহলে চলো জেনে নেওয়া যাক, বর্ণ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি? বর্ণ নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
বর্ণ কাকে বলে
মানুষ তার মনের কথা লিখে প্রকাশ করার জন্য ব্যবহৃত সাংকেতিক চিহ্নকে বর্ণ বলা হয়। যেমনঃ আমরা যাই বলি না কেন তার লিখিত রূপটাই বর্ণ আকারে বের হয় , আমি ভাত খাই।, সেই স্কুলে যায়, তিনি দেখতে সুন্দর এই সবগুলি যেকোন মানুষের মনের ভাব হতে পারে সুতরাং এগুলোকে বর্ণ বলা যায়।
বর্ণের প্রকারভেদ
বর্ণকে সাধারণত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথাঃ
- স্বরবর্ণ
- ব্যঞ্জনবর্ণ
স্বরবর্ণ
যেসব বর্ণ উচ্চারণের সময় মুখের কোথাও বাধা পায় না, বরং মুখের বিভিন্ন অংশের সাহায্যে খোলাস্বচ্ছভাবে উচ্চারিত হয়, উচ্চারণের সময় স্বরবর্ণ ব্যতীত অন্য কোন বর্ণের সাহায্যের প্রয়োজন হয় না সেগুলোকে স্বরবর্ণ বলে।
স্বরবর্ণ মোট ১১টি
বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ মোট ১১টি যথাঃ
অ-আ-ই-ঈ্-উ-ঊ-ঋ-এ-ঐ-ও-ঔ, এগুলো হলো বাংলা স্বরবর্ণ
ব্যঞ্জনবর্ণ
ব্যঞ্জনবর্ণ হলো এমন কিছু বর্ণ যা উচ্চারিত হওয়ার সময় মুখগহ্বরের কোথাও না কোথাও বাধাপ্রাপ্ত হয়। অন্য কথায় বলতে গেলে, ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণ করার সময় আমাদের জিহ্বা, ঠোঁট, তালু, দাঁত ইত্যাদির মধ্যে কোনো না কোনো অংশ স্পর্শ করে। ব্যঞ্জনবর্ণ স্বাধীনভাবে উচ্চারিত হতে পারে না। এদের উচ্চারণ করার জন্য স্বরবর্ণ-এর সাহায্য লাগে।
বাংলা বর্ণমালায় ব্যঞ্জনবর্ণ মোট ৩৯ টি
ক-খ-গ-ঘ-ঙ-চ-ছ-জ-ঝ-ঞ- ট-ঠ-ড-ঢ-ণ-ত-থ-দ-ধ-ন-প-ফ-ব-ভ-ম-য-র-ল-শ-ষ-স-হ-ড়-ঢ়-য়-ৎ- ং- ঃ- ঁ এগুলো হলো বাংলা বর্ণমালার ব্যঞ্জনবর্ণ
ব্যঞ্জনবর্ণের কিছু শ্রেণীবিভাগ
- স্পর্শ বর্ণ: ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, ত, থ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম
- উষ্ম বর্ণ: য, র, ল, শ, ষ, স, হ
- অন্তঃস্থ বর্ণ: ড়, ঢ়
- অযোগবাহ বর্ণ/আশ্রয়স্থানভাগী বর্ণ: য়, ৎ, ং, ঃ, ঁ
আশা করি উপরের তথ্যগুলি আপনাদের ভবিষ্যতে যে কোন কাজে লাগবে। বর্ণ সম্পর্কে আরো কোন তথ্য জানতে চাইলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন ‘ধন্যবাদ’ আরো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণ জানতে হলে ভিজিট করুন Banglaquestion.com