বিশেষ্য পদ কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি?
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে আমরা তোমাদের মাঝে হাজির হয়েছি বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে যার নাম হল বিশেষ্য। আমরা সাধারণত বাংলা ব্যাকরণ সম্পর্কে ধারণা সবারই টুকিটাকি ধারণা থাকে সুতরাং আজকে এই ব্যাকরণ এর একটি নতুন টপিক বিশেষ্য কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি? এই নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলো জেনে নেওয়া যাক এই তথ্যটি সম্পর্কে নিচে বিশেষ্য পদ কাকে বলে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
বিশেষ্য পদ কাকে বলে
বিশেষ্য পদ হলো বাংলা ব্যাকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা কোন কিছুর নাম বোঝায়। বাক্যে ব্যবহৃত যেকোনো শব্দ যদি কোন স্থান, ব্যক্তি,জিনিস, বস্তু, ধারণা, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা ইত্যাদির নাম প্রকাশ করে, তাহলে সেই শব্দকেই বিশেষ্য পদ বলা হয়। যেমনঃ পদ্মা, মেঘনা, ঢাকা, ছেলে, পানি, সুন্দর ,গরম ,গোলাপ ইত্যাদি
উদাহরণ বিশেষ্য পদের কিছু
- ব্যক্তি: ছেলে, মেয়ে, শিক্ষক, ডাক্তার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- স্থান: ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, পৃথিবী, মঙ্গলগ্রহ
- জিনিস: বই, কলম, টেবিল, ঘড়ি, মোবাইল ফোন
- বস্তু: চাল, দুধ, পানি, লবণ, তেল
- ধারণা: সত্য, সৌন্দর্য, ভালোবাসা, সাহস, জ্ঞান
- গুণ: সুন্দর, লম্বা, মিষ্টি, শক্তিশালী, দুষ্টু
- অবস্থা: গরম, ঠান্ডা, সুস্থ, অসুস্থ, দুঃখী
- সংখ্যা: দুই, পাঁচ, শত, হাজার, অসংখ্য
বৈশিষ্ট্য দিক দিয়ে বিশেষ্য
- বিশেষ্য পদের উপর লিঙ্গ, বচন, বিভক্তি, কারক ইত্যাদি প্রযোজ্য হয়।
- বিশেষ্য পদের সাথে বিশেষণ, সর্বনাম, সংখ্যাবাচক বিশেষণ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
- বিশেষ্য পদ বাক্যের কর্তা, কর্ম, করণ, সম্পত্তি, অধিকরণ ইত্যাদি ভূমিকা পালন করতে পারে।
বিশেষ্য পদের শ্রেণীবিভাগ বা প্রকারভেদ
বিশেষ্য পদকে সাধারণত ৬ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। নিচে এর বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলঃ
অর্থের দিক থেকে বিশেষ্য
- সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদ কোন নির্দিষ্ট জিনিস, বস্তু, ব্যক্তি, স্থান ইত্যাদির নাম বোঝায়, তাকে সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: ছেলে, মেয়ে, বই, টেবিল
- গুণবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদ কোন বস্তু বা ব্যক্তির গুণ, অবস্থা, ধর্ম ইত্যাদি বোঝায়, তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: সুন্দর, লম্বা, মিষ্টি, শক্তিশালী, দুষ্টু
- ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদ কোন ক্রিয়ার নাম বোঝায়, তাকে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন: লেখা, পড়া, গান গাওয়া,
উৎপত্তি অনুসারে
- জাতিবাচক বিশেষ্য:যে পদ দ্বারা ভিন্ন ভিন্ন জাতি না বুঝিয়ে সবকিছুকে একত্রে বুঝায় তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমনঃ গরু, পাখি,মানুষ ,গাছ,নদী,পার্বত্য ইত্যাদি
- সমষ্টিবাচক বিশেষ্য: বাক্যে ব্যবহৃত যেকোনো বিশেষ্য পদ দ্বারা এক জাতীয় ব্যক্তি বস্তু সমষ্টিকে বোঝায় তাকে সমষ্টিকবাচক বিশেষ্য বলে। যেমনঃ জাতি,ধর্ম,দল, ছাত্রলীগ সভা, সমিতি ,দল,পাল ইত্যাদি
- বস্তুবাচক বিশেষ্য: যেকোনো বিশেষ্য পদের দ্বারা কোন বস্তুর নাম বোঝায় এবং যা সংখ্যা দ্বারা নির্দেশ করা যায় না বা বোঝা যায় না শুধু পরিমান করা যায় তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। যেমনঃ চাল ,ডাল, আটা, পানি, তেল ,বালি ইত্যাদি
পরিশেষে বলা যায়, উপরের তথ্যগুলি আপনাদের ভবিষ্যৎ অনুসন্ধান কাজে খুবই কাজে আসবে এবং আপনাদের বাংলা ব্যাকরণ পড়ার ক্ষেত্রে খুবই উপকারিতা পাবেন। বিশেষ্য সম্পর্কে আরো কোন তথ্য জানতে চাইলে অথবা যে কোন তথ্য জানতে চাইলে আমাদেরকে নিতে কমেন্ট বাক্স এ কমেন্ট করে জানাতে পারেন “ধন্যবাদ”